Wednesday, March 9, 2016
ক্রান্তিদেখা
আকাশের
দিকে তাকালেই রশ্মির এক বৌদ্ধিক অবস্থানকে খুঁজে পাই। আমি জানি কণার অভ্যন্তরে যে
সব অতিকণাদের বাসা তারাই এ সবের জন্য দায়ী বা বলা ভালো দায়িত্বশীল। রামধনুর রং আর
জলের কণা – এরা যদি বৈজ্ঞানিক বোধে বাঁধা থাকত তবে কি নাম রাখতাম রামধনু। সব কিছু
ছাড়িয়ে যেতে ইচ্ছা করে, সব কিছুরই ভেতরের জগতকে অনুভব করতে ইচ্ছা করে। আর এই
মহাবিশ্বের ওপারে যে সমুদ্র রয়েছে – মহাবিশ্বের বেলুন হয়ে যে ভেসে বেড়ানো, ভেসে
বেড়ানোর যে আকাশ তার জন্য পালাতে ইচ্ছা করে বই কি! এই যে এখন লিখছি, এও তো
পালাচ্ছি; এই যে লেখার সঙ্গে সঙ্গে এক টুকরো রশ্মি – একে কী বলব? মুক্তি? বন্ধন?
স্বপ্ন? মায়া? আমরা যদি এই সংসারে বুদ্বুদ হই সেটাই যেন চরম অর্থে সত্যি হয়, কারণ
পরমার্থ যে রয়েই যায় আমাদের সঙ্গে খেলা করার জন্যে।
কেন
কেউ খেলার নামটা বিশ্ব দিল না! আমরা তো তাহলে একটা মহাবিশ্ব রচনা করতে পারতাম।
কিংবা খেলার নাম বিশ্ব হলে বিস্ময় বলে আর কিছু থাকত না, এই ‘হয়তো’ ‘তাহলে’
শব্দগুলো মূল্যহীন হয়ে যেত। বিশ্ব যদিও ক্রমান্বয়ে খেলা করে চলেছে কারণ বিশ্বের
আকরে রয়েছে কমলালেবু ঘুমপরীদের চোখের মতো। কিন্তু মূল্যহীনতা এ খেলার ঠিক কোন
জায়গায় স্থান নিয়েছে? আকাশ একটা শূণ্য বীজ যদি হয় সেই শূণ্য বৃক্ষের জন্য কতদিন
অপেক্ষা করতে হবে?
বেণুর
হাওয়ায় ফুসফুস ভরে গেছে। সব পোশাক শরীর থেকে ঝেরে ফেলতে পারলে নিজেকে অনেকটা মাঠের
মতো মনে হয়। প্রকৃতি যেখানে আকন্দের মতো সেইটাই আমি। বাকিটুকুন এষণা শব্দের
প্রতিরূপ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment