Thursday, March 10, 2016
এই আঁকিবুঁকিটি মাত্র পাঁচ বছরের শিশুর, জিজ্ঞাসা করলে লজ্জানত অপরাধী মুখে এক চিলতে হাসি। প্যাস্টেল দিয়ে বাড়ির
দেওয়ালে সৃষ্ট এই রেখাচিত্রে পাই গর্বে
ফুলে ওঠা এক নৃত্যরত পাখীর রূপকল্প, নীল রঙ যার পরিচয়
নির্দিষ্ট করছে। সামান্য আয়োজনে অসামান্য প্রতিবেদনের এক অনন্য উদাহরণ।
এটি একটি/একদল কিশোরের পরিবেশগত অবচেতনের ফসল। মাধ্যমিক
বা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ালে এইধরণের অসংখ্য রূপকল্প দেখা যায় ... এটি
সামান্য আলাদা। এটি পাওয়া গেছে একটি করিডোরের দেওয়ালে, যেখান দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-শিক্ষক চলাফেরা করেন। ছবিটি শুরু হয়েছে
ভোজালি-এর একাধিক রেখাচিত্র দিয়ে। প্রথমটি ছবির মধ্যেখানে উপস্থিত, ভ্রম হয় এর গতি নিয়ে বিশেষ করে দ্বিতীয়টির হাতল ইশারায় বর্তমান। এর সঙ্গে
একটি আগ্নেয়াস্ত্রর উপস্থিতি এবং গঠন বৈচিত্র ধন্দটিকে আরো বাড়িতে তোলে। অস্ত্রটির
হাতলের শেষপ্রান্তে অর্ধচন্দ্রটির অবস্থান কেবলমাত্র প্রশাসনের সৈনিকদেরই
নির্দিষ্ট করে।
কোন কাজটি শিল্প আর কোন কাজটি নয় তা নিয়ে ধন্দ থেকে যায়
এই ছবিটিকে দেখলে, তাই অনেক সময় তা ছেড়ে দিতে হয় দর্শক
সাধারণের উপর। জাতীয় সম্পদ রেলের এক কামরায় অজানা কেউ এই কাজটি করেছেন, ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। দেওয়ালকে ধরে রাখার একটি
স্কু-কে আধার করে দেওয়ালের রঙ খসিয়ে ধীরে ধীরে এক উড্ডীয়মান পাখীর উপস্থাপনা। ছবির
মধ্যে সামান্য রঙ ছেড়ে রাখা শিল্পীর
মার্জিত অভিজ্ঞতার প্রমাণ জানান দেয়। কামরার জানালা দিয়ে আসা একফালি আলো ছবিটির
রসবৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে মাত্র। এই কাজটি কোনোদিনও কোনো সংগ্রাহকের তালিকায়
অন্তর্ভূক্ত হবে না কিন্তু এর নান্দনিক বোধ নিয়ে প্রশ্ন করাটা বোধহয় উচিত হবে না।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment