চার্চগেট
বিকেলের ট্রেন পেরোলো কটনগ্রীন
শিউরে উঠলো সন্ধ্যের মুখে জেগে
স্টেশনের পাশে ছোট্টো একটি দিন
টাপোরী রুমালে পিছলানো রোদ লেগে
নিচ দিয়ে বয়ে গেছে জনপথে ভিড়
উঁচু উঁচু ঐ জানালা-বিহীন ঘরে
দিনভর ছিল মেসিনের ঘড়ঘড়ে
চাপা পড়ে থাকা নীরবতা নির্ঝরে
হুইসেল এসে খুলে দিল তার মুখ
পাঁচটা পঁচিশে আঁধারের কারিগর
পিলপিল করে দৌড়য় পশ্চিমে
যেখানে সাগরে রোদে ভেসে আছে ঘর
কখন সকাল হবে, চারটেয় আজান
ট্রম্বেদ্বীপ ডুবে যাবে ভোরের জোয়ারে
গুটি গুটি খাঁড়ি ভেঙে চিম্বোরী কাঁকড়ার
আট পায়ে বালি ঠেলে চেম্বুরে পৌঁছবে
কলকাতা বন্দরের বিক্ষুব্ধ হরতালী ভোর
শোনো, তুমি কথা বলো জাহাজীর সঙ্গে
চুপিচুপি কার্গো থেকে লাইফবোট করে
সে যেন নামিয়ে দেয় বঙ্গোপসাগরে
একটুকরো আলোর রস্মি, যত দ্রুত পারে
তোমার অবশ হাত, মৃত্যু তার শিয়রে জেগেছে
অজস্র বিনিদ্র রাত, যত কথা – সব গেছি ভুলে
এখন শ্যাওলা ঠেলে ফিরে আসছো ভাইকিং জাহাজে
করোটির দৃষ্টি লুটে টাঙিয়েছো তোমার মাস্তুলে
এত যে বছর গেল, কোনো কথা হয়নি তো শোনা
পাশাপাশি স্তব্ধ হয়ে শুয়ে ছিলে নিজের কবরে
জাহাজ বোঝাই রত্ন বেঁধে গেছে বিস্মৃত চড়ায়
এ শহর নিভে গেছে, আলাপীরা ফিরেছে কোটরে
দেবতার মুখ এখানে পাথরে খোদাই রয়েছে যুগযুগ
গাছের শেকড় এখানের জলে নাক উঁচু করে শ্বাস নেয়
এখানে সিঁড়িতে তুলে নিয়ে যাবে এমন অনেক বাহকের
সাঁঝের নৌকো পার হয়ে গেলে এই পোড়া দ্বীপে বাস নেই
0 comments:
Post a Comment